মাদক সম্রাট তুহিনের দাপোটে এলাকাবাসি অতিষ্ঠ

 মাদক সম্রাট তুহিনের দাপোটে এলাকাবাসি অতিষ্ঠ



বেনাপোলের গয়ড়া গ্রামে তুহিন ও শাহিন নামে ২ ভাই মাদক ব্যবসা করে আজ কোটি পোতি বনে গেছে। কালো টাকার দাপোটে তারা এলাকায় সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন একের পর এক চালিয়ে যাচ্ছে। মোটা অঙ্কের টাকায় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে তারা দীর্ঘদিন ধরে এ মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসি অতিষ্ঠ। মাদকে ভাসছে বেনাপোলের গয়ড়া ও কাগজপুকুর এলাকা।


মাদক সম্রাট তুহিনের দাপোটে এলাকাবাসি অতিষ্ঠ
 মাদক সম্রাট তুহিনের দাপোটে এলাকাবাসি অতিষ্ঠ


গয়ড়া গ্রামবাসিরা জানায়, ছোট বেলা থেকেই গয়ড়া গ্রামের মতিয়ারের ছেলে তুহিন ও শাহিন মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। মাদক ব্যবসাকে বড় করতে শাহিন এখন ঢাকায় বসবাস করে। বিভিন্ন লোক মারফাত প্রতিদিন বেনাপোল থেকে ইয়াবা ও ফেনসিডিলের চালান ঢাকায় পাঠাচ্ছে তুহিন। মাদক ব্যবসা করে তারা দু‘ভাই এখন কোটি কোটি টাকা মালিক। কালো টাকার গরম সয্য করতে না পেরে তুহিন এলাকার সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন করেই চলেছে। তাদের মাদকের আসরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আওয়ামীলীগ নেতা তবেল আওলীয়াকে বুধবার রাতে ও তার ছেলে নুরনবি কে বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাপক মারপিট করে তুহিন। বেনাপোল বন্দরের লেবার সরদার গোলাম হোসেন কে জীবন নাশের হুমকি দেয়। এসব ঘটনায় এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। তুহিনের এ মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে বেনাপোলের আওয়ামীলীগ নেতারা চেষ্ঠা করে ব্যর্থ হচ্ছে। তুহিন গত ২০১৭ সালের ২০ জুলাই মাগুরা থানায় ইয়াবা ও অস্ত্রসহ আটক হয়, যার মামলা নং ইয়াবা ৭৭ ও অস্ত্র মামলা নং ৭৯। ২০১২ সালের ২১ আগস্ট কেশবপুর থানায় ফেনসিডিল সহ আটক হয়। যার মামলা নং ২০। এছাড়া কাগজপুকুর মোড়ে এক মটরসাইকেল চালককে হত্যার পর এক দোকানের মধ্যে পুতে প্লাষ্টার করে রাখা হত্যা মামলারও আসামি ছিল তুহিন। একাধিক মামলার আসামি ও বহু অপকর্মের হোতা এবং মাদক ব্যবসায়ীর অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে চাই এলাকাবাসি।       

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গয়ড়া গ্রামের একজন জানান, গয়ড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় প্রতিদিন সন্ধার পর তুহিনের নের্তৃত্বে একটি মাদকের আসর বসে। সন্ধা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এখানে মদ, গাঁজা ও ইয়াবা সেবন করে তারা। এলাকাবাসিরা এঘটনার প্রতিবাদ করলেই শুরু হয়ে যায় অত্যাচার  নির্যাতন। ধারাল অস্ত্র ও বোমা নিয়ে প্রতিবাদকারীদের বাড়িতে হামলা চালায়। কথায় কথায় বোমা ও ধারাল অস্ত্র বের করায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। তুহিন এলাকাবাসিদের সাফ জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের নেতারা আমার পকেটে, প্রতি সপ্তাহে লাখ লাখ টাকা তাদের দিতে হয়। আমার কেউ কিছুই করতে পারবে না। তুহিনের এ ক্ষমতার উৎস কোথায়। ।   

Post a Comment

Previous Post Next Post