রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পুরনে বেনাপোল কাস্টম হাউস বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। দ্রুত পন্য খালাশে নতুন নতুন নির্দেশনা জারি করায় আমদানি বানিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ১৪১৫ কোটি টাকা।
কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, দিনের রাজস্ব দিনে আদায় করতে হবে। আর এই রাজস্ব আদায়ে কোন অফিসার যদি ব্যবসায়ীদের ইচ্ছাকৃত হয়রানির করেন তাহলে তাকে তাৎক্ষনিক সাসপেন্ড করা হবে। ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে আমাদনি রফতানি বানিজ্য দ্রুত করতে তদারকি কাজ শুরু করেছে। উচ্চ শূল্কের পন্য দ্রুত পরীক্ষন ও শুল্কায়ন দ্রুত করতে লোকবল বাড়ানো হয়েছে। চলতি জুন মাস ব্যাপী প্রতিটি কাস্টমস অফিসারকে পর্যায়ক্রমে সকাল ৭ টা থেকে রাত ১২ পর্যন্ত কাজ করতে হবে। ভারত থেকে যে সব কর্মকর্তারা দিন ব্যাপী বেশী বেশী আমদানি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করাতে পারবে তাদের জন্য রিওয়ার্ডের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য দ্রুত স্ক্যানিং করে পরীক্ষন কাজ সম্পন্ন শেষে ট্রাক টু ট্রাক খালাশের অনুমতিও দেয়া হয়েছে।
দ্রুত রাজস্ব আদায়ের জন্য এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহন করায় গত দুদিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বেড়েছে আমদানি বানিজ্য। রোববার ভারত থেকে ৪৮৭টি আমদানি পণ্য বোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে। আগে এসময়ে প্রবেশ করেছে ৩৮০ ট্রাক। রাজস্ব আদায়ের পরিমান ছিল ১২ কোটি টাকা। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত ৪২০ ট্রাক মালামাল আমদানি হয়েছে যার বিপরীতে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ১০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। তবে রাজস্ব ফাঁকি রোধে ব্যাপক কঁড়া কড়ি আরোপ করায় রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশে জাতীয় ইলেকশন ও ঈদের লম্বা ছুটির কারনে বেনাপোলে রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। তবে জুন মাসের মধ্যে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পুরন করতে সব ধরনের কার্যক্রম গ্রহন করা হযেছে। ভারতীয় কাস্টম কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সকাল ৮টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত আমদানি বানিজ্য সচল রাখা হয়েছে। দিনের রাজস্ব দিনে আদায়ের জন্য পণ্য দ্রুত খালাশের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস রাজস্ব আদয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৩ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। ১ হাজার ৪১৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় কম হয়ছে। তবে বেনাপোলের পাশ্ববর্তী ভোমরা বন্দরে সব ধরনের পন্য আমদানির অনুমোতি দেয়ায় সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ীরা ঔ বন্দরে চলে গেছে বলে বেনাপোলস্থ ব্যবসায়ী সংগঠন গুলো অভিযোগ করেছেন।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বেনাপোল কাস্টম হাউজ’র রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পুরনের জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ব্যাপক আইনী পরিবর্তন এনেছে। বন্দর থেকে উচ্চ শুল্কের পন্য দ্রুত খালাশ করতে ব্যবসায়ীদের অহবান জানানো হয়েছে। সে লক্ষে ব্যবসায়ীরা কাজ করে যাচ্ছে।
Post a Comment