পদ্মা সেতু, ফয়লা বিমান বন্দর ও রেল লাইন সংযোগ বাস্তবায়ন হলেই মোংলা বিশ্বের অন্যতম বন্দরে পরিনত হবে

পদ্মা সেতু, ফয়লা বিমান বন্দর ও রেল লাইন সংযোগ বাস্তবায়ন হলেই উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে পুরোপুরি সক্ষমতা নিয়ে অচীরেই মোংলা বিশ্বের অন্যতম বন্দরে পরিনত হবে। সে লক্ষে সরকার ও বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আর এ বন্দর নিয়ে সরকারের বর্তমান পরিকল্পনায় প্রবেশী রাষ্ট্রও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ১৫তম উপদেষ্টা কমিটির সভায় এমন মন্তব্য করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী।  
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোজ্জাম্মেল হক বন্দরের চলমান সকল প্রকল্প ও প্রয়োজনীয় প্রকল্প ও ইকুপমেন্ট সম্পর্কে বন্দর প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
সভায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মোংলা বন্দর, খুলনা ও বাগেরহাটকে মৃত বানিয়েছিল খালেদা জিয়া এবং এরশাদ গোষ্ঠীরা। সেই অঞ্চলটাকে জীবন দান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশেই এ বন্দর আগামী তিন চার বছরের মধ্যেই সম্ভাবনা বন্দরে পরিণত করা হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মোংলা বন্দর এখন আমাদের দেশীয় বন্দর নাই। এই বন্দরের সুযোগ-সুবিধা এখন প্রতিবেশী রাষ্ট্রও গ্রহণ করছে।’ 
এ সভায় মোংলা বন্দরের উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন, বন্দর ব্যবহারকারীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি, পশুর চ্যানেলের নাব্যতা সংরক্ষণসহ নতুন ইকুইপমেন্ট সংযোজনের বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া সভায় মোংলা-খুলনা মহাসড়ক, খানজাহান আলী বিমান বন্দর নির্মাণ, খুলনা-মোংলা রেললাইন স্থাপন ও পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে এ বন্দরের কার্যক্রম বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ব্যবসায়ী ও বন্দর ব্যবহারকারীরা তুলে ধরেন পশুর চ্যানেলের নাব্য সংকট সহ বিরাজমান সমস্যা ও সম্ভবনার নানা দিক। 
এ সময় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, সংসদ সদস্য ডাক্তার মোজ্জাম্মেল হোসেন, কোস্টগার্ড মহা পরিচালকের প্রতিনিধি পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপটেন এম মিনারুল হক, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার  লোকমান হোসেন মিয়া, পুলিশ কমিশনার খুলনা লুৎফুল কবির, বারবিডার সভাপতি আবদুল হক, খুলনা চেম্বারের সহসভাপতি মোস্তফা জেসান ভূট্র,নৌ-পরিবহন মালিক সমিতির সহাসচিব পল্টু খানসহ বন্দরের উদ্ধোতন কর্মকর্তা ও বন্দরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্ধ। 
পরে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের (সিবিএ) সধারণ নির্বাচনে নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। সরকার গঠনের পর নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী প্রথম বারের মতো মোংলা বন্দর পরিদর্শন করলেন। বিকালে তিনি মোংলা বন্দর ত্যাগ করেন প্রতিমন্ত্রী। 

Post a Comment

Previous Post Next Post