(১ নভেম্বর) শুরু হচ্ছে সুন্দরবনে ৫ মাসব্যাপী শুঁটকী আহরণ মৌসুম, একই সাথে ফের শুরু হচ্ছে ইলিশ আহরণ

(১ নভেম্বর) শুরু হচ্ছে সুন্দরবনে ৫ মাসব্যাপী শুঁটকী আহরণ মৌসুম, একই সাথে ফের শুরু হচ্ছে ইলিশ আহরণ

(১ নভেম্বর) শুরু হচ্ছে সুন্দরবনের শুঁটকী আহরণ মৌসুম। ৫ মাস ধরে চলা এই শুঁটকী আহরণ মৌসুমকে সামনে রেখে বঙ্গোপসাগর উপকূলে সুন্দরবনের দুবলাসহ প্রধান ৫টি চরের অস্থায়ী শুঁটকী পল্লীতে আজ থেকে যেতে শুরু করেছে হাজার-হাজার জেলে। একই সাথে ২২ দিন নিষেজ্ঞার পর আজ (১ নভেম্বর) থেকে ফের শুরু হচ্ছে সুন্দরবনের নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশ আহরণ। সুন্দরবনের বনদস্যু মুক্তির প্রথম বর্ষ পুর্তির দিনেই একই সাথে শুঁটকী আহরণ মৌসুম ও ইলিশ আহরণ শুরু হওযায় অধিক পরিমান মাছ আহরণের প্রত্যাশা নিয়ে কোন শংঙ্কা ছাড়াই সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরে যাচ্ছেন জেলেরা, এমনটি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  

বাগেরহাটের মোংলা ও শরণখোলা উপজেলা থেকে ৭৫ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগর উপকূলে ৫টি চর নিয়ে সুন্দরবনের সর্ববৃহৎ মৎস্য কেন্দ্র দুবলা শুঁটকী পল্লীর অবস্থান। প্রতি বছর ১ নভেম্বর থেকে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের আওতাধীন দুবলারচর, আলোরকোল, নারকেল বাড়ীয়া, শেলারচর ও মেহের আলীরচর নিয়ে সুন্দরবনের অস্থায়ী শুঁটকী পল্লী গড়ে ওঠে। প্রায় ১০ হাজার জেলে ও বহরদারা বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের কাছ থেকে নির্ধারিত রাজস্ব দিয়ে অস্থায়ী শুঁটকী পল্লীতে ঘর ও মাছ শুঁটকী করার স্থাপনা গড়ে তোলে। নবেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত চলে সুন্দরবনের শুঁটকী পল্লীতে সামুদ্রিক সাদা মাছসহ চিংড়ী ও কাঁকড়া আহরণ। একই সাথে চলে সুন্দরবনের নদ-নদীতে ইলিশ আহরণ। সুন্দরবন বিভাগের হিসেবে প্রতি বছর এই শুঁটকী পল্লীর জেলেরা শিকার করে প্রায় ১৫ হাজার মেট্রিক টন সামুদ্রিক সাদা মাছ , ৪ হাজার মেট্রিক টন চিংড়ি ও বিশ^খ্যাত শিলা কাঁকড়া। একই সাথে সুন্দরবনের নদ-নদী থেকে আহরিত হয় প্রায় ৮ শত মেট্রিক টন রূপালী ইলিশ। সুন্দরবনের শুঁটকী পল্লীর জেলেরা কম-বেশী ৩০ প্রকার জাল ব্যবহার করে আহরিত সামুদ্রিক সাদা মাছ ও চিংড়ি রোদে শুকিয়ে বিদেশে রপ্তানীর জন্য উপযোগী করে প্যাকেটজাত করা হয়। এসব শুঁটকী মাছ থেকে চলতি মৌসুমে লক্ষমাত্র ৩ কোটিরো অধিক রাজস্ব আয় করবেন বলে আশা করছে সুন্দরবন বিভাগ বিভাগ। এজন্য বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ ব্যপক প্রস্তুতি শেষ করেছে। 

একই সাথে বনদস্যু মুক্ত সুন্দরবনে অধিক পরিমান মাছ আহরণের প্রত্যাশা নিয়ে কোন শংঙ্কা ছাড়াই বাগেরহাটের মোংলা ও শরণখোলায় জাল ও নৌ-ফিশিং ট্রলার নিয়ে জড়ো হওয়া হাজার-হাজার জেলে। (১ নভেম্বর) সকালের প্রথম ভাটায় জড়ো হওয়া এসব জেলে দল বেধে ৭৫ নটিক্যাল মাইল দূরে সুন্দরবনের দুবলা শুঁটকী পল্লীর উদ্যেশে নদী ও সমুদ্র পথে রওনা হয়ে গেছেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post