বেনাপোল বন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় ৮ শ্রমিক আহত

বেনাপোল বন্দরে হ্যান্ডলিং শ্রমিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শ্রমিকরা সকল প্রকার কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন করতে থাকে। বহিরাগত সন্ত্রাসীরা যাতে বন্দর এলাকায় না প্রবেশ করতে পারে সে জন্য মোড়ে মোড়ে শ্রমিকরা প্রতিরোধ অবস্থান নেয়। এসময় বিভিন্ন জায়গায় ১০/১৫টি বোমা বিষ্ফোরণ ঘটায় সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় ৮ শ্রমিক আহত হয়। পুলিশ সন্ত্রাসীদের আটক অভিযান অভ্যাহত রেখেছে। 

আহতরা হলো, বেনাপোল পোর্ট থানার খড়িডাঙ্গা গ্রামের দীন মোহাম্মদের ছেলে আবু কালাম, রঘুনাথপুর গ্রামের জানিক আলীর ছেলে দুল্লী, দৌলতপুর গ্রামের মিজানের ছেলে শরিফুল, শামীম, সম্রাট, জুয়েল, কামাল ও রাজু। তারা সবাই বন্দর শ্রমিকদের গ্রুপ সরদার।
আহত শ্রমিক নেতা শাহিন হোসেন দুল্লী জানান, তিনি ও তার গ্রুপের শ্রমিকরা সবাই মিলে বেনাপোল ছোট আঁচড়া বাইপাস রোডে পাথর লোড-আনলোডের কাজ করতে যান। এসময় একদল সন্ত্রাসী প্রাভেটকারে যোগে এসে কর্মরত শ্রমিকদের উপর গাড়ি চালিয়ে তাদের গায়ে তুলে দেয় এবং গাড়ির দরজা দিয়ে বাড়ি মারতে থাকে। এসময় গাড়িতে থাকা সন্ত্রাসীরা লাঠি, বোমা ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ৭ শ্রমিক আহত হয়। এসময় আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান স্থানীয় জনগণ।
ছোট আঁচড়ার মোড় সহ কয়েকটি এলাকায় সন্ত্রাসীরা ৭/৮ টি বোমা বিষ্ফোরণ ঘটায়। মুহুর্তের মধ্যে দোকান পাঠ বন্ধ হয়ে যায়। 
বন্দরের ৮৯১ নং হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু আহম্মেদ বলেন, শ্রমিকরা বাইপাস সড়কের পাশে পাথর লেঅড আনলোড করতে যাচ্ছিল। এসময় বন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আলী কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে শ্রমিকদের উপর হামলা চালায়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কালাম নামে এক শ্রমিক সরদারকে কুপিয়ে আহত করে। এসময় আরও ৭ জন আহত হয়। এষবর জানতে পেওে শ্রমিকরা সকল প্রকার কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করতে থাকে। পরে পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের আশ্বস্থ্য করলে শ্রমিকরা সব কাজে যোগদান করেন।    
বেনাপোল পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুলফিকার আলি মন্টু বলেন, শান্ত বেনাপোলকে অশান্ত করতে একদল সন্ত্রাসী উঠে পড়ে লেগেছে। তারা খেটে খাওয়া সাধারণ বন্দর শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের আহত করেছে। এজন্য বন্দর শ্রমিকরা বন্দর এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ও বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। 
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন খান বলেন, কালাম নামে এক শ্রমিক সরদার কে একটি সন্ত্রাসী এসে মারধর করার ঘটনায় শ্রমিরা উত্তেজিত হয়ে কাজ বন্ধ করে দের। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলে হামলাকারীদের আটকের আশ্বাস দিলে তারা বিক্ষোভ কর্মসুচি প্রত্যাহার ও বন্দরের সকল কার্যক্রম সচল করেন। এঘটনায় পোর্ট থানায় একটি মামলা হয়েছে। 

Post a Comment

Previous Post Next Post